রুটির বদলে পাকিস্তানিদের গুলি খাওয়ানোর হুমকি মোদির
আপলোড সময় :
২৭-০৫-২০২৫ ০৩:০২:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৫-২০২৫ ০৩:০২:৫৪ অপরাহ্ন
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে সম্প্রতি কয়েক দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। এরপর সামরিক উত্তেজনার পারদ কমলেও, থেমে নেই বাকযুদ্ধ। নতুন করে সেই আগুনে ঘি ঢেলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যেখানে পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে মোদি বলেছেন, তোমরা রুটি খাও, আর তা না হলে আমার গুলি তো আছেই।
সোমবার (২৬ মে) মোদি তার শাসনকালের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুজরাটের ভূজে এক জনসভায় এ বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের রোগ থেকে মুক্ত করতে দেশটির জনগণের এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেন, সুখ-শান্তির জীবন অতিবাহিত করো, রুটি খাও, তা না হলে তোমাদের জন্য আমার বুলেট তো আছেই।
এর আগে, গুজরাটের আরেক জনসভায় মোদি অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার চেষ্টা করবে, তখন তাদের অস্তিত্ব মুছে যাওয়াটাও নিশ্চিত হয়ে যায়। অপারেশন সিদুঁর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি আমাদের ভারতীয় মূল্যবোধ এবং আমাদের হৃদয়ে ধারণ করা গভীর আবেগের প্রতিফলন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্যে মোদির যুদ্ধংদেহী ভঙ্গি আবারও স্পষ্ট হলো, যা একদিকে জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে দিচ্ছে, অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির সম্ভাবনাকে আরও কঠিন করে তুলছে। দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে কূটনৈতিক সংলাপ ও জনগণের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে—যা হয়তো মোদির কথার আড়ালেও কিছুটা প্রতিফলিত হয়েছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল ভারতের কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এরপর পাকিস্তানকে দায়ী করে বারবার বক্তব্য দেয় নয়াদিল্লি। তবে সে দায় অস্বীকার করে পাকিস্তান। পরে ৬ মে মধ্যরাতে ঘুমন্ত পাকিস্তানিদের ওপর অপারেশন সিঁদুর নামে অতর্কিত হামলা চালায় ভারত। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি পাকিস্তানও। টানা ৮৭ ঘন্টা ধরে চলা এই সংঘাতে রাফাল যুদ্ধবিমান, সামরিক স্থাপনাসহ অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দুই দেশ।
পরে গত ১০ মে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা যায়, পাকিস্তানের আক্রমণের মুখে চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে ভারত সরকার। এতেই ক্ষিপ্ত হয় ভারতীয়রা। অন্যদিকে, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা পাকিস্তান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স